গরুর ফিড: পুষ্টি, প্রকারভেদ ও সঠিক ব্যবস্থাপনার গাইডলাইন

গরুর স্বাস্থ্য, দুধের উৎপাদন ও মাংসের গুণগত মান নির্ভর করে সঠিক ফিডের উপর। একটি সুষম ও পুষ্টিকর ফিড গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অর্থনৈতিক লাভ নিশ্চিত করে।

১. রাফেজ ফিড (আঁশযুক্ত খাদ্য):

সবুজ ঘাস (যেমন: নেপিয়ার, জার্মান ঘাস), খড়, সাইলেজ (গাঁজানো ঘাস)।

পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে ও শক্তি সরবরাহ করে।

২. কনসেনট্রেট ফিড (প্রোটিন ও শক্তি):

ভুট্টা, গমের ভুসি, সয়াবিন, খেসারি, চালের কুঁড়া।

দৈনিক ২-৩ কেজি প্রোটিন সমৃদ্ধ ফিড দুধের উৎপাদন বাড়ায়।

৩. মিনারেল ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট:

লবণ, ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট, ভিটামিন এ, ডি, ই ইনজেকশন বা মিক্সড ফিডে যোগ করুন।

গরুর ফিডে আবশ্যিক পুষ্টি উপাদান

প্রোটিন: পেশি গঠন ও দুধ উৎপাদনের জন্য (সয়াবিন,

খেসারি)।

কার্বোহাইড্রেট: শক্তির উৎস (ভুট্টা, গম)।

ফ্যাট: চর্বি ও হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে।

ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস: হাড় ও দাঁতের জন্য (হাড্ডির গুঁড়া, ঝিনুকের খোল)।

ঘরোয়া গরুর ফিড তৈরির নিয়ম

  • সাধারণ মিশ্রণ (১০০ কেজি):
  • ভুট্টা/গম: ৩০ কেজি
  • চালের কুঁড়া: ২০ কেজি
  • সয়াবিন/খেসারি: ২৫ কেজি
  • খড়/ঘাস: ১৫ কেজি
  • লবণ ও মিনারেল মিক্স: ১০ কেজি

গরুর ফিড ব্যবস্থাপনার টিপস

১. পরিমাণমতো খাবার দিন:

দুধেল গরু: দৈনিক ৩-৪% শরীরের ওজনের সমান ফিড। গর্ভবতী গরু: অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন দিন।

২. ফিড স্টোরেজ:

শুকনো ও পোকামুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করুন।

৩. পানি:

প্রতিদিন ৫০-৬০ লিটার পরিষ্কার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন।

ভুলে ভরা ফিড ব্যবস্থাপনা (যা এড়াবেন)

  • শুধু খড় বা ঘাস দেওয়া (প্রোটিনের অভাব ঘটায়)।
  • পচা বা ফাঙ্গাসযুক্ত ফিড খাওয়ানো।
  • মিনারেল সাপ্লিমেন্ট উপেক্ষা করা।

গুণগত ফিডের সুফল

  • দুধের উৎপাদন ২০-৩০% বৃদ্ধি।
  • গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • দ্রুত ওজন বৃদ্ধি (মাংসের গরুর জন্য)।

Featured products

গবাদিপশুর খাদ্য (Cattle Feed) 
আজ আমরা মোট ১২ টন গবাদিপশুর দানাদার খাদ্য সফলভাবে ডেলিভারি দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

My Cart
Wishlist
Recently Viewed
Categories
Wait! before you leave..
Get 10% off for your first order.

use this code > welcome

Recommended Products