রেপসিড (Rapeseed)
Original price was: 37.00৳ .35.00৳ Current price is: 35.00৳ .
রেপসিড একটি উচ্চ পুষ্টিমানের তৈলবীজ ফসল, যা থেকে ক্যানোলা তেল ও রেপসিড খৈল উৎপাদিত হয়।
• পুষ্টিগুণ: ৪০% প্রোটিন, ৪৫% তেল, ফসফরাস, পটাশিয়াম।
• ব্যবহার: পশুখাদ্য, জৈব সার, বায়োডিজেল উৎপাদন।
• সুবিধা: পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী, উচ্চ ফলনশীল।
• সতর্কতা: কিছু জাতে গ্লুকোসিনোলেটস বিষাক্ততা থাকতে পারে।
১. পরিচিতি ও উৎস
রেপসিড (Brassica napus) প্রধানত ইউরোপ, কানাডা ও এশিয়ায় চাষ করা হয়। এটি থেকে ক্যানোলা তেল (গ্লুকোসিনোলেটস-মুক্ত) ও খৈল তৈরি হয়। বাংলাদেশে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এর চাষ বাড়ছে।
২. পুষ্টিমান (প্রতি ১০০% শুষ্ক পদার্থে):
ক্রুড প্রোটিন: ৩৫-৪০% গবাদি পশুর পেশি ও দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে।
• ক্রুড ফ্যাট: ৪০-৪৫% তেল উৎপাদনের প্রধান উৎস।
ফাইবার: ১২-১৫%
• গ্লুকোসিনোলেটস: কম মাত্রায় থাকলে নিরাপদ (ক্যানোলা জাত)।
৩. ব্যবহারের ক্ষেত্র:
পশুখাদ্য: খৈল গরু, মুরগির খাদ্যে ১০-২০% মিশিয়ে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে।
• জৈব সার: নাইট্রোজেন ও ফসফরাস সমৃদ্ধ, মাটির উর্বরতা বাড়ায়।
• বায়োডিজেল: রেপসিড তেল থেকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি তৈরি হয়।
৪. সুবিধা:
• টেকসই চাষ: কম পানিতে চাষযোগ্য, রোগ-পোকা প্রতিরোধী।
• অর্থনৈতিক গুরুত্ব: তেল ও খৈল রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
• বহুমুখী ব্যবহার: খাদ্য, শক্তি, কৃষি-সব ক্ষেত্রে উপযোগী।
৫. বাংলাদেশে চাষ:
উপযোগী এলাকা: রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী।
• জাত: ব্রাসিকা ন্যাপাস (ক্যানোলা), ব্রাসিকা রাপা (স্থানীয়)।
• ফলন: হেক্টর প্রতি ১.৫-২.৫ টন বীজ (জাতভেদে ভিন্ন)।
৬. সতর্কতা:
গ্লুকোসিনোলেটস: বেশি মাত্রায় থাকলে পশুর থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষতি করে। ক্যানোলা জাত নিরাপদ।
অতিরিক্ত ব্যবহার: পশুখাদ্যে ২০% এর বেশি দিলে হজমে সমস্যা হয়।
প্রক্রিয়াজাতকরণ: তাপ দিয়ে গ্লুকোসিনোলেটসের মাত্রা কমানো যায়।
Weight | 1 kg |
---|
Reviews
There are no reviews yet.