গম পাউডার |gom| Wheat
45.00৳
গম গবাদিপশুর খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শস্য, যা শর্করা (৬৫-৭০%) এবং প্রোটিন (১২-১৫%) সরবরাহ করে। এতে থাকা বিপাকীয় শক্তি (৩২০০ কিলোক্যালরি/কেজি) পশুর কর্মক্ষমতা, ওজন বৃদ্ধি ও দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে। তবে ফাইটিক অ্যাসিডের উপস্থিতির কারণে খনিজ শোষণে বাধা দূর করতে অন্যান্য খাবারের সাথে সুষমভাবে ব্যবহার করুন!
গম (Wheat): পশু খাদ্যের বহুমুখী শস্য
গম বিশ্বব্যাপীগবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি শক্তি, প্রোটিন এবং সীমিত ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা পশুর দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক।
পুষ্টিমান (প্রতি ১০০% শুষ্ক পদার্থে আনুমানিক):
- ক্রুড প্রোটিন: ১২-১৫% বা মাছের মগের তুলনায় কম। ভুট্টার চেয়ে বেশি, তবে সয়াবিন
- ক্রুড ফ্যাট: ১.৫-২% কম ফ্যাট, তাই শক্তির জন্য কার্বোহাইড্রেটের উপর নির্ভরশীল।
- ক্রুড ফাইবার: ২-৩% সহজপাচ্য, হজমে সহায়ক।
- স্টার্চ: ৬০-৭০% দ্রুত শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
- ক্যালসিয়াম: ০.০৫% প্রয়োজন। খুব কম, অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট
- ফসফরাস: ০.৩-০.৪% থাকায় শোষণযোগ্যতা কম। ফাইটিক অ্যাসিডের সাথে বাঁধা
- বিপাকীয় শক্তি: ৩১০০-৩২০০ কিলোক্যালরি/কেজি কর্মক্ষমতা বজায় রাখে।
- উপকারিতা:
শক্তি ও প্রোটিনের সমন্বয়: ভুট্টার চেয়ে বেশি প্রোটিন থাকায় মাংস ও দুধ উৎপাদনে কার্যকরী।
✓ সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী: বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে সহজে পাওয়া যায়।
✓ বহুমুখী ব্যবহার: গমের ভুসি, গুঁড়া বা সম্পূর্ণ দানা হিসেবে পশু খাদ্যে যোগ করা যায়।
✓ দুধের উৎপাদন: ল্যাকটেশন চলাকালীন গাভীর শক্তির চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
শনা:ব্যবহারের নির্দে
• গরু, মুরগি, ভেড়া ও ছাগলের দৈনিক খাদ্যের ২০-৩০% গম ব্যবহার করা যেতে পারে।
• প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে সয়াবিন খৈল, মাছের মগ বা শুঁটি জাতীয় খাদ্যের সাথে মিশ্রণ করুন।
• গম ভাঙা বা গুঁড়া করে খাওয়ালে হজমে সুবিধা হয়।
সতর্কতা:
ফাইটিক অ্যাসিড: গমে ফাইটিক অ্যাসিড থাকায়
ক্যালসিয়াম, জিংক ও আয়রনের শোষণ কমে যায়। এজন্য ফাইটেজ এনজাইম বা খনিজ সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করুন।
• গমের অ্যালার্জি: কিছু পশু (বিশেষত মুরগি) গমে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
মাইকোটক্সিন: স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে সংরক্ষণ করলে ফাঙ্গাসের আক্রমণ হতে পারে।
• অতিরিক্ত ব্যবহার: বেশি গম খাওয়ালে পেট ফাঁপা বা অ্যাসিডোসিস হতে পারে।
*গম গবাদিপশুর খাদ্যতালিকায় শক্তি ও প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করলেও সঠিক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও অন্যান্য পুষ্টির সাথে সমন্বয় জরুরি!*
—
নোট:
– গমের পুষ্টিমান নির্ভর করে জাত, মাটির গুণাগুণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের উপর।
– গমের গুঁড়া বা ভাঙা অবস্থায় সংরক্ষণ করলে পচন রোধ করা যায়।
– পশুর খাদ্য পরিকল্পনার জন্য একজন **পশু পুষ্টিবিদ** বা কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
Weight | 1 kg |
---|
hridoy ssfff –
good
[...]