সয়াবিনের ভূসি Sayabin bhusi
43.00৳
সয়াবিনের ভূসি হলো সয়াবিনের তেল নিষ্কাশনের পর প্রাপ্ত উপজাত দ্রব্য, যা গবাদি পশুর খাদ্য ও জৈব সারে ব্যবহৃত হয়।
• পুষ্টিগুণ: ৩৫-৪০% প্রোটিন, ১২-১৫% ফাইবার, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ 2 3।
ব্যবহার: পশুখাদ্য, জৈব সার, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি।
সুবিধা: সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, প্রোটিনের চাহিদা পূরণে কার্যকরী।
সতর্কতা: ফাইটিক অ্যাসিডের উপস্থিতি, অতিরিক্ত ব্যবহারে হজমে সমস্যা।
১. পরিচিতি ও উৎস
সয়াবিনের ভূসি হলো সয়াবিন বীজের বাইরের খোসা, যা তেল নিষ্কাশনের পর অবশিষ্ট থাকে। এটি বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী গবাদি পশুর খাদ্য ও কৃষিতে জৈব সার হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সয়াবিনের তেল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রতি ১০০ কেজি বীজ থেকে প্রায় ৫-৮ কেজি ভূসি পাওয়া যায় ও।
২. পুষ্টিমান (প্রতি ১০০% শুষ্ক পদার্থে):
• ক্রুড প্রোটিন: ৩৫-৪০% পশুর পেশি গঠন ও দুধ উৎপাদনে সহায়ক
ক্রুড ফাইবার: ১২-১৫%
রুমেনের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। হজমশক্তি উন্নত করে ও
• খনিজ পদার্থ: নাইট্রোজেন (৪-৫%), ফসফরাস (২-৩%), পটাশিয়াম (১-২%) মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে 21
বিপাকীয় শক্তি: ২৮০০-৩০০০ কিলোক্যালরি/কেজি শক্তি সরবরাহ করে ও।
৩. ব্যবহারের পদ্ধতি
• গবাদি পশুর খাদ্য:
• গরু, মুরগি, ভেড়ার দৈনিক খাদ্যের ১০-১৫% ভূসি মিশিয়ে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা যায়।
• বিশেষত দুধেল গাভীর খাদ্যে যোগ করলে দুধের উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায় ও।
জৈব সার:
• মাটির সাথে মিশিয়ে (হেক্টর প্রতি ২০০-৩০০ কেজি) নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের ঘাটতি পূরণ করে।
তরল সার তৈরিতে ব্যবহার করা যায় (১ কেজি ভূসি + ১০ লিটার পানি + ৭-১০ দিন পচিয়ে) ২।
৪. সুবিধা
• খরচ সাশ্রয়ী: সয়াবিন প্রক্রিয়াকরণের উপজাত হওয়ায় দামে সস্তা।
• পরিবেশবান্ধব: কৃষি বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে টেকসই চাষাবাদ নিশ্চিত করে।
• বহুমুখী ব্যবহার: পশুখাদ্য, সার, বায়োগ্যাস উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়
৫. সতর্কতা
• ফাইটিক অ্যাসিড: ভূসিতে ফাইটিক অ্যাসিড থাকায় খনিজ
শোষণে বাধা দেয়। ভিজিয়ে বা সিদ্ধ করে ব্যবহার করলে এই প্রভাব কমে ।
• অতিরিক্ত ব্যবহার: বেশি পরিমাণে খাওয়ালে পশুর পেট ফাঁপা বা হজমজনিত সমস্যা হতে পারে।
ছত্রাকমুক্ত নিশ্চিত করুন: আর্দ্র পরিবেশে সংরক্ষণ করলে বিষাক্ত ছত্রাক জন্মাতে পারে
Weight | 1 kg |
---|
Reviews
There are no reviews yet.