Cattle Feed
Original price was: 42.00৳ .40.00৳ Current price is: 40.00৳ .
গরুর স্বাস্থ্য, দুধের উৎপাদন ও মাংসের গুণগত মান নির্ভর করে সঠিক ফিডের উপর। একটি সুষম ও পুষ্টিকর ফিড গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অর্থনৈতিক লাভ নিশ্চিত করে।
গরুর ফিডের প্রকারভেদ
১. রাফেজ ফিড (আঁশযুক্ত খাদ্য):
সবুজ ঘাস (যেমন: নেপিয়ার, জার্মান ঘাস), খড়, সাইলেজ (গাঁজানো ঘাস)।
পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে ও শক্তি সরবরাহ করে।
২. কনসেনট্রেট ফিড (প্রোটিন ও শক্তি):
ভুট্টা, গমের ভুসি, সয়াবিন, খেসারি, চালের কুঁড়া।
দৈনিক ২-৩ কেজি প্রোটিন সমৃদ্ধ ফিড দুধের উৎপাদন বাড়ায়।
৩. মিনারেল ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট:
লবণ, ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট, ভিটামিন এ, ডি, ই ইনজেকশন বা মিক্সড ফিডে যোগ করুন।
গরুর ফিডে আবশ্যিক পুষ্টি উপাদান
প্রোটিন: পেশি গঠন ও দুধ উৎপাদনের জন্য (সয়াবিন,
খেসারি)।
কার্বোহাইড্রেট: শক্তির উৎস (ভুট্টা, গম)।
ফ্যাট: চর্বি ও হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস: হাড় ও দাঁতের জন্য (হাড্ডির গুঁড়া, ঝিনুকের খোল)।
ঘরোয়া গরুর ফিড তৈরির নিয়ম
- সাধারণ মিশ্রণ (১০০ কেজি):
- ভুট্টা/গম: ৩০ কেজি
- চালের কুঁড়া: ২০ কেজি
- সয়াবিন/খেসারি: ২৫ কেজি
- খড়/ঘাস: ১৫ কেজি
- লবণ ও মিনারেল মিক্স: ১০ কেজি
গরুর ফিড ব্যবস্থাপনার টিপস
১. পরিমাণমতো খাবার দিন:
দুধেল গরু: দৈনিক ৩-৪% শরীরের ওজনের সমান ফিড। গর্ভবতী গরু: অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন দিন।
২. ফিড স্টোরেজ:
শুকনো ও পোকামুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করুন।
৩. পানি:
প্রতিদিন ৫০-৬০ লিটার পরিষ্কার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
ভুলে ভরা ফিড ব্যবস্থাপনা (যা এড়াবেন)
- শুধুখড় বা ঘাস দেওয়া (প্রোটিনের অভাব ঘটায়)।
- পচা বা ফাঙ্গাসযুক্ত ফিড খাওয়ানো।
- মিনারেল সাপ্লিমেন্ট উপেক্ষা করা।
গুণগত ফিডের সুফল
- দুধের উৎপাদন ২০-৩০% বৃদ্ধি।
- গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- দ্রুত ওজন বৃদ্ধি (মাংসের গরুর জন্য)।
Weight | 1 kg |
---|
Reviews
There are no reviews yet.